নিজস্ব প্রতিবেদক: গরু চুরির অভিযোগে সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় এক ইউপি সদস্যকে (মেম্বার) চুরি হওয়া গরুরসহ আটক করেছে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ।
ওই ইউপি সদস্যের নাম সৈয়দ মুমিনুর রহমান সুমিত (৩৪)। তিনি দক্ষিণ সুরমা উপজেলার চান্দাই মাঝপাড়া গ্রামের সৈয়দ গোলাম রব্বানির ছেলে এবং দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বরইকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ছয় নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বর)।
এ ঘটনায় গরুর মালিক দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকার বেতসান্দি মুন্সিবাজারের ছমিপুর গ্রামের মৃত মজম্মিল আলীর ছেলে মো: আশক আলী বাদী হয়ে মুমিনুর রহমান সুমিতসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-০৯(০৬/১১/১৯))। এ মামলায় বুধবার (৬ নভেম্বর) ইউপি সদস্যে সুমিতকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাত অনুমান ২টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে যে কোন সময় মামলার বাদী মো: আশক আলীর বাংলা ঘরের (পুবের ঘর) দরজা কেটে ঘরে থাকা ৬টি গরু সৈয়দ মুমিনুর রহমান সুমিত সহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা ঘরের বাহিরে নিয়ে যায়। ৬টি গরু বাহিরে নিলেও ২টি গরু (একটি নেরা লাল রঙের গাভি ও অপরটি লাল রঙের ষাড় গরু (বাছুর)) চুরি করে নিয়ে যায়। এবং অপর ৪টি গরু হাওড়ে ছেড়ে ছলে যায়। চুরি যাওয়া গরুর ২টির মূল্য অনুমান এক লক্ষ টাকা।
মামলার বাদী ভোররাত অনুমান ৫: ৪০ মিনিটে ঘুম থেকে উঠে তার বাংলা ঘরের (পুবের ঘর) দরজা খোলা দেখে ঘরের দিকে গিয়ে দেখেন কোন গরু নেই তখন তিনি চিৎকার করে উঠেন। তার চিৎকারে ঘরের সবাই জেগে উটে এবং আশপাশের প্রতিবেশীসহ গরুর অনুসন্ধান করার সময় অনুমান ৬টার দিকে তার বাড়ীর পাশ^বর্তী হাওরে ৪টি গরু খোঁজে পেলেও বাকি ২টি গরুর কোন সন্ধান মিলেনি।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার এলাকায় ওই দিন বিকেল অনুমান ৫টার দিকে মো: সাদ্দাম হোসেন এর সাথে গরু চুরির বিষয়ে আলাপকালে হারানো গরু দুটির অনুসন্ধানের জন্য খোঁজ চাইতে অনুরোধ করেন তিনি। তখন সাদ্দাম হোসেন জানায় যে, চান্দাই মাঝপাড়ার সুমিত মেম্বারের বাড়ীতে দুটি গরু আছে। গরু দুটি তোমার কিনা তা যাচাই করে দেখ। তখন তিনি ফুলমিয়া ও সাদ্দাম হোসেনকে সাথে নিয়ে রাত অনুমান ৮টার দিকে সুমিত মেম্বারের বাড়িতে যান। সুমিত মেম্বারএর বাড়ীতে গরু দুটি দেখে আমি আমার গরু বলে সনাক্ত করে কৌশলে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশে খবর দেন তিনি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুমিত মেম্বারের গোয়াল ঘর থেকে উদ্ধার করে এবং সুমিতকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খাইরুল ফজল ।
46 বার পঠিত
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.