অনলাইন ডেস্ক: মেয়েটির জন্ম হংকংয়ে, থাকতেন ভারতের পঞ্জাবের ফরিদকোটে দাদা-দাদীর সঙ্গে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ পড়ার সময় ২০১২ সালে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ ছাত্র রোহিত শর্মার সঙ্গে আলাপ হয়। এরপর সেটা গড়ায় সম্পর্কে।
প্রেমিককে বিয়ে করতে ব্যাকুল প্রেমিকা। একই সঙ্গে ভাবী শ্বশুরবাড়ির কাছে নিজেকে প্রমাণ করার আগ্রহ। এই দুই আকাঙ্ক্ষার মারণ চাপে স্বেচ্ছায় দেহ ব্যবসায় নামেন। যৌনতা, ব্ল্যাকমেলিং ও স্বাভাবিক জীবনের কামনা- সবে মিলে তার গল্প ফিল্মের চিত্রনাট্যের থেকে কম নয়। রাজস্থান পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ওই পতিতাবৃত্তির ঘটনা ফাঁস করেছে।
পুলিশকে মেয়েটি জানিয়েছেন, প্রেমিকের মায়ের প্রত্যাখ্যানে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি সহজে টাকা রোজগারের রাস্তা খুঁজতে থাকেন। ২০১৩ সালে তার সঙ্গে আলাপ হয় এক মধুচক্রের পান্ডা অক্ষত শর্মার। মাসে ১২ হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে নিয়োগ দেন তিনি। সেখানেই তার আলাপ মধুচক্রের অন্য সদস্যদের সঙ্গে।
মেয়েটি তখন টাকা রোজগারে মরিয়া। ২০১৪ সালে তারা তাকে শহরের এক আবাসন নির্মাণকারীর কাছে নিয়ে যায়। পরে তারা ওই নির্মাণকারীকে ব্ল্যাকমেল করে, বলে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা না দিলে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করা হবে। এভাবেই দেহ ব্যবসার পাশাপাশি ব্ল্যাকমেলিংয়ে হাত পাকান ওই নারী। প্রথম অ্যাসাইনমেন্টে তার জোটে ৩০ লাখ টাকা।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে পছন্দের মানুষের সঙ্গে তার বিয়ে হয়ে যায়। ততদিনে ১ কোটির ওপর রোজগার করে ফেলেছেন তিনি, ব্ল্যাকমেল করেছেন অন্তত ৬ জনকে।
তবে বিয়ের পরই মধুচক্রের সঙ্গ ছাড়েন ওই নারী। তখন তিনি চেয়েছিলেন সুস্থভাবে সংসার করতে। তার স্বামীও এত কিছু সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। সূত্র: এবিপি আনন্দ।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.